একটি পতাকা
– আল মাহমুদ
– আল মাহমুদ
তোমাদের কাছে স্বাধীনতার একটা সুন্দর অর্থ আছে
সেই অর্থের ওপর পত্ পত্ করে উড়ছে একটি পতাকা।
আমার কছে এর অর্থ হলো অনেক দূরবর্তী কিছু মুখ
কে যেন বলছে তুমি তো বাড়ি চলে যাবে।
আবার এসো
আবার এসো কিন্তু!
কোথায় আমার বাড়ি?
আমার বাড়ি কি কোনো নদীর পাড়ে?
খড় ও চালের নিচে কিছু গরু বাছুর ছাড়া
আর তো কিছু দেখতে পাই না।
কোথাও নিশ্চয়ই আমার একটা বাড়ি আছে
যেখানে আমি চোখ মেললেই দেখতে পেতাম
একটি নদী, এক নারী, একটি নৌকা আর দাঁড়ের শব্দ।
সেই অর্থের ওপর পত্ পত্ করে উড়ছে একটি পতাকা।
আমার কছে এর অর্থ হলো অনেক দূরবর্তী কিছু মুখ
কে যেন বলছে তুমি তো বাড়ি চলে যাবে।
আবার এসো
আবার এসো কিন্তু!
কোথায় আমার বাড়ি?
আমার বাড়ি কি কোনো নদীর পাড়ে?
খড় ও চালের নিচে কিছু গরু বাছুর ছাড়া
আর তো কিছু দেখতে পাই না।
কোথাও নিশ্চয়ই আমার একটা বাড়ি আছে
যেখানে আমি চোখ মেললেই দেখতে পেতাম
একটি নদী, এক নারী, একটি নৌকা আর দাঁড়ের শব্দ।
এখন তো আমি আর দেখতে পাই না
সাথে সাথে অন্তর্হিত হয়ে যায় দৃশ্যের ভেতরে দৃশ্য
কালের ভেতর কাল মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে উঠল
আর কেবল কোন কিছু ভাঙার শব্দ
যেন অনেকগুলো প্লেট কারো হাত থেকে
ঝনঝনিয়ে পড়ে গেছে পাথরের ওপর
ছত্রখান হয়ে ছিটিয়ে পড়েছে আমার হৃদয়ের মতন
অনেকগুলো আহার্যের বাসন।
জানি না কী খাদ্য ছিল ওতে,
কেউ কি পাটের শাক, ঘিয়ের পাত্র, নিমকদানি
সেখানে ঠেলে দিয়ে বলেছিল-খাও তো!
কত দিন তুমি ভালো করে খাওনি
এই দেখো মাছের ভর্তা, কাঁচা লঙ্কার বাটি, নুন
পানি আর কলমি শাকের তরকারি।
আস্তে খাও, ঘি দিয়ে মাখিয়ে নাও
এক সময় যে বলতে তুমি সর্বভুক-সব-খাবে
আর আমি হেসে বলতাম-আমাকেও!
দেখো আমার ঠোঁট কাঁপছে, আমি কথা বলতে চাই না
আমি বললেই তো সব সত্য হয়ে যায়
আমি কী বলব!
ময়ের ঘর্ঘর ধ্বনি আমার বুকের ওপর জমা হয়েছে
আমি কী বলব!
অনেক ফিনকি দেয়া রক্তের ঝর্ণা ঝরে পড়েছে আমার উপর
আমি কী বলব- এ সবের শেষ কোথায়!
মি তো অনন্তকালের যাত্রী ছিলাম,
তুমি আমাকে থামালে কেন?
এখন আমাকে নিয়ে দেখো কত সমস্যা
কারণ আমি তো মানুষের রক্তের ইতিহাস
অকপটে বলতে পারি, আমার সাথে গাছ কথা বলে,
বাতাস কথা বলে, বায়ু তাড়িত মেঘ কথা বলে,
এত যে দীর্ঘকাল নিরুত্তর হয়ে আছে সময়
সে কি আমার প্রশ্নের জবাব দেবে না!
আমি অতিবাহিত এক নদীর মতো,
আমি জলভরা মেঘের মতো,
আমিই তো বিদ্যুৎ-
আমি লিখলেই আগুনের অক্ষরে আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যায়।
সাথে সাথে অন্তর্হিত হয়ে যায় দৃশ্যের ভেতরে দৃশ্য
কালের ভেতর কাল মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে উঠল
আর কেবল কোন কিছু ভাঙার শব্দ
যেন অনেকগুলো প্লেট কারো হাত থেকে
ঝনঝনিয়ে পড়ে গেছে পাথরের ওপর
ছত্রখান হয়ে ছিটিয়ে পড়েছে আমার হৃদয়ের মতন
অনেকগুলো আহার্যের বাসন।
জানি না কী খাদ্য ছিল ওতে,
কেউ কি পাটের শাক, ঘিয়ের পাত্র, নিমকদানি
সেখানে ঠেলে দিয়ে বলেছিল-খাও তো!
কত দিন তুমি ভালো করে খাওনি
এই দেখো মাছের ভর্তা, কাঁচা লঙ্কার বাটি, নুন
পানি আর কলমি শাকের তরকারি।
আস্তে খাও, ঘি দিয়ে মাখিয়ে নাও
এক সময় যে বলতে তুমি সর্বভুক-সব-খাবে
আর আমি হেসে বলতাম-আমাকেও!
দেখো আমার ঠোঁট কাঁপছে, আমি কথা বলতে চাই না
আমি বললেই তো সব সত্য হয়ে যায়
আমি কী বলব!
ময়ের ঘর্ঘর ধ্বনি আমার বুকের ওপর জমা হয়েছে
আমি কী বলব!
অনেক ফিনকি দেয়া রক্তের ঝর্ণা ঝরে পড়েছে আমার উপর
আমি কী বলব- এ সবের শেষ কোথায়!
মি তো অনন্তকালের যাত্রী ছিলাম,
তুমি আমাকে থামালে কেন?
এখন আমাকে নিয়ে দেখো কত সমস্যা
কারণ আমি তো মানুষের রক্তের ইতিহাস
অকপটে বলতে পারি, আমার সাথে গাছ কথা বলে,
বাতাস কথা বলে, বায়ু তাড়িত মেঘ কথা বলে,
এত যে দীর্ঘকাল নিরুত্তর হয়ে আছে সময়
সে কি আমার প্রশ্নের জবাব দেবে না!
আমি অতিবাহিত এক নদীর মতো,
আমি জলভরা মেঘের মতো,
আমিই তো বিদ্যুৎ-
আমি লিখলেই আগুনের অক্ষরে আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যায়।
আমি ভবিষ্যৎ বলি, আমি অতীত জানি বলে
সকলে আমাকে ভয় পায়
শুধু বিরুদ্ধচারণ করে এক নারী
তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে না না না
আমি সব না-কে হ্যাঁ করে যাব
আমি সমস্ত প্রত্যাখ্যানকে পদদলিত করে
মেঘের ওপর পতাকা বসিয়েছি।
ল আমাকে গিলে ফেলতে চেয়েছিল
তীত আমাকে হজম করতে পারেনি
ভবিষ্যৎ আমাকে প্রত্যাখ্যান করে
তবে কি আমি কেউ নই?
সকলে আমাকে ভয় পায়
শুধু বিরুদ্ধচারণ করে এক নারী
তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে না না না
আমি সব না-কে হ্যাঁ করে যাব
আমি সমস্ত প্রত্যাখ্যানকে পদদলিত করে
মেঘের ওপর পতাকা বসিয়েছি।
ল আমাকে গিলে ফেলতে চেয়েছিল
তীত আমাকে হজম করতে পারেনি
ভবিষ্যৎ আমাকে প্রত্যাখ্যান করে
তবে কি আমি কেউ নই?
এ সময় আমার দিকে এগিয়ে আসছে
এক দূরবর্তী নক্ষত্রের আলো।
আমি সেই আলোর মধ্যে আমার চেহারা দেখে
আতঙ্কে আর্তনাদ করে উঠি,
আমি কি এতই কুৎসিত? সর্বগ্রাসী? তৃষ্ণার্ত?
তাহলে ওগো আমার পিপাসার জল, এসো-
এক গন্ডুষ আমি তোমাকে পান করি।
এক দূরবর্তী নক্ষত্রের আলো।
আমি সেই আলোর মধ্যে আমার চেহারা দেখে
আতঙ্কে আর্তনাদ করে উঠি,
আমি কি এতই কুৎসিত? সর্বগ্রাসী? তৃষ্ণার্ত?
তাহলে ওগো আমার পিপাসার জল, এসো-
এক গন্ডুষ আমি তোমাকে পান করি।
No comments:
Post a Comment